এক টুকরো ভালবাসা
Hello....I am back.So let's read this romantic story....
written by me.
↓↓↓
লাঞ্চ টাইম শুরু হওয়ার সাথে সাথে স্নিগ্ধার ফোন এল।ফোনটা হাতেই ছিল।স্নিগ্ধাকে ফোন দিব এই মুহূর্তে সেই ফোন দিল।রিসিভ করতেই বললো,
-- অনেক কাজ করছো।এখন গিয়ে খাও তারপর আমাকে ফোন দাও?
-- আচ্ছা।
আমার বলার শেষ হতেই ফোনটা কেটে দিল।আমি জানি, স্নিগ্ধা এখনও খাই না।কারণ প্রতিবেলাই আমার খাওয়ার পরই সে খায়।
চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়ালাম।ক্যান্টিনে গিয়ে লাঞ্চ শেষ করে আবার চেয়ারে গিয়ে বসলাম।ফোনটা হাতে নিয়ে স্নিগ্ধাকে ফোন দিলাম।
-- আমার খাওয়া শেষ এবার তুমি খেয়ে নাও।
-- আচ্ছা, আসবে কখন?
-- প্রতিদিন যে সময় আসি।
-- ওহ, সাবধানে এসো এবং আসার সময় আইসক্রিম আর চকলেট নিয়ে এসো।
-- এইটা তো প্রতিদিনের কাজ, আর কিছু?
-- না
-- তাহলে, এখন রাখি?
-- আচ্ছা
কথা শেষ করে আবার কাজে মনোযোগ দিলাম।অফিস টাইম শেষ হওয়ার আগে স্নিগ্ধা আবার ফোন করলো।
-- বের হয়েছো কি?
-- না, এইতো বের হবো।
-- আচ্ছা, সাবধানে এসো।
-- ওকে, রাখি
এখন ফোন দেয়ার কারণ একটাই যেন তার আইসক্রিম আর চকলেট নিতে ভুল না হয়।তারপরও মাঝেমাঝে নিতে ভুলে যাই।
একদিনের কথা এখনও মনে আছে।সেদিন কিছুই নিয়ে যাই নি।তারপরই শুরু তার অভিমান আর কতো অভিযোগ।আমি তাকে ভালবাসি না,ওই পাশের বাসার ভাবি নাকি ভালবাসি, তার জীবনটা শেষ হয়ে গেছে আমাকে বিয়ে করে,আমি আগের মতো নেই ইত্যাদি ইত্যাদি।
সারাদিন অফিস করে কে চাই এসব শুনতে।তাই অফিসের টেবিলের এককোণায় লিখে রাখছি যে প্রতিদিন আইসক্রিম আর চকলেট নিয়ে বাসায় যেতে হবে।তাই এখন আর এগুলো নিতে ভুল হয় না।
অফিস থেকে বের হয়ে দোকানে যেতেই এক বন্ধুর সাথে দেখা।অনেকদিন দেখা আলাপ কথা বলার জন্য নিরিবিলি জায়গায় গিয়ে বসলাম।
কথা বলতে বলতে প্রায় দশটার বেজে গেল।ফোনটা হাতে নিয়ে দেখি অনেক গুলো মিসকল ভেসে আছে।দেখে মনে মনে বললাম আজ কপালে শনি আছে।
বন্ধুর কাছে থেকে বিদায় নিয়ে তাড়াতাড়ি বাসার দিকে পা বাঁড়ালাম।আমার ফোন সব সময় ভাইব্রেট মুডে থাকে।তাই বুঝতে পারি নি স্নিগ্ধা কল দিচ্ছিলো।
যাওয়ার সময় আইসক্রিম আর চকলেট নিতে ভুল করলাম না।বাসায় গিয়ে কলিংবেল বাজাতেই দরজা খুলে গেল।যেন দরজার ওপারেই দাঁড়িয়ে ছিল।শান্ত দৃষ্টিতে উপর থেকে নিচ পর্যন্ত কয়েকবার পর্যবেক্ষণ করলো।
-- কোন মেয়ের সাথে ছিলে এতোক্ষণ যাবত?
-- ছিঃ ছিঃ, এসব কি বলছো?তুমি ছাড়া কি অন্য মেয়ের সাথে থাকতে পারি।অন্য মেয়েদের সাথে কথা বলা তো দূরের কথা তাকায়েই না।
-- হুম, দেখছি তো কেমন লুইচ্ছার মতো মেয়েদের দিকে তাকিয়ে থাকো।পাশের বাসার বাসার ভাবি আসলেই তোমার লুইচ্ছা মার্কা চাওনি দেখা যায়।
-- এসবের মাঝে আবার ভাবিকে আনছো কেন?
-- ওহ, এখন ভাবির জন্য তোমার কষ্ট হচ্ছে।আমার জন্য তো এতো কষ্ট কোনদিন দেখি নাই।বুঝি বুঝি আমি সব বুঝ!!
-- কি বুঝো তুমি?বলতো শুনি?
-- এইযে তুমি পাশের বাসার ভাবিকে ভালবাসো।আমাকে এখন আর ভালবাসো না।
-- কে বললো তোমাকে এই কথা?
-- কেন আমি বুঝি না।সবই আমার কপাল, কি দেখে যে তোমার প্রেমে পড়েছিলাম।আর কেনইবা তোমাকে বিয়ে করতে গেছিলাম।এখন বুঝতে পারছি আমার ভুলটা।
-- শুধু ভুল না মহাভুল।কেন যে তোমার সাথে প্রেম করতে গেলাম আর কেন যে বিয়ে করতে গেলাম।আগে বুঝতে পারিনি পারলে কখনোই তোমাকে বিয়ে করতাম না।
-- কি বললে তুমি?আমাকে বিয়ে করে তুমি ভুল করছো।আরে তোমার সাত কপালের ভাগ্য যে আমাকে নিয়ে করছো।
-- এইটা তোমার ভুল ধারণা।তোমাকে বিয়ে করা আমার মহাভুল হয়ছে।তোমার থেকে আরো অনেক ভাল মেয়ে বিয়ে করতে পারতাম।
-- তুমি এই কথা বলতে পারলে।তুমি পারবে না কেন এখন তো আর আমাকে ভালবাসো না।আমি বাধা হয়ে দাঁড়িয়ে আছি, তাই না। কালকে সকালেই আমি চলে যাচ্ছি।আর আসবো না।
কথা গুলো বলেই এক দৌড়ে শোয়ার রুমের সাথে আরেকটা রুম আছে।সেই রুমে গিয়ে দরজা আটকিয়ে দিল।অনেকক্ষণ বাইরে থেকে ডাকলাম কিন্তু কাজ হলো না।জানি কাজ হবে না দুষ্টামি বেশিই করে ফেললাম।এতোটা করা ঠিক হয়নি।
-- এই তোমার ব্যাগ গোছানো শেষ হলে, দেখো ফ্রিজে আইসক্রিম আর চকলেট রাখা আছে।
এখন এইটাই শেষ ভরসা।কথা গুলো বলে শোয়ার রুমের দিকে পা বাঁড়ালাম।কাপড় চ্যঞ্জ করে ফ্রেশ হয়ে টিভি রুমে যেতেই দেখি মহারাণী শোফায় পায়ের উপর পা তুলে আয়েশে টিভি দেখছে আর আইসক্রিম খাচ্ছে।
কিছুক্ষণ আগে যে আমাদের ঝগড়া হয়ছে সেটা দেখে বুঝা গেল না।সে তার মতো খেয়ে যাচ্ছে আর টিভি দেখে যাচ্ছে।আমার দিকে তাকানোর প্রয়োজন মনে করলো না।আরেকটু রাগানোর জন্য বললাম।
-- এতো তাড়াতাড়ি ব্যাগ গোছানো শেষ হয়ে গেল?
কথাটি শুনে আমার দিকে তাকালো।যেন কথাটি বলে বোকামি করে ফেলেছি।আর চোখ দিয়ে যেন ভষ্ম করে দিবে।
-- তুমি বলছিলে চলে যাবে।তাই বললাম আরকি।
-- তুমি কি মনে করছো?আমি চলে যাই আর এদিকে তুমি লুইচ্ছামি করে বেরাও থাকতে তা কোনদিন হবার নয়।এতো তাড়াতাড়ি তোমার মুক্তি নেই আমার কাছ থেকে।
-- কে মুক্তি চায় বলো?আচ্ছা,যাইহোক এখন চল খাবো।খুব ক্ষুধা লাগছে।তোমারও তো লাগছে।
-- হুম, চলো।
কথা বলা শেষ হতে দেখি আইসক্রিম শেষ।এখন আমাকে একাই খেতে হবে।টিভি অফ করে খাবার টেবিলের দিকে যেতে লাগলো।আমি আরো কিছু সময় পরে গেলাম।যা ভেবে ছিলাম তাই একাই খেতে হবে টেবিলে একটা প্লেট।বসতে বসতে বললাম।
-- তুমি খাবে না?
-- না,আমার ক্ষুধা নেই।আইসক্রিম আর চকলেট খেয়েই পেট ভরে গেছে।তুমি খেয়ে নাও।
খাওয়া শেষ করে শোয়ার রুমে গিয়ে বসলাম।আর অপেক্ষা করতে লাগলাম কখন আসবে।এখন ওকে সারপ্রাইজ দেয়া বাকি।
স্নিগ্ধা রুমে আসতেই বললাম আমার কাছে আসতে।আমার সামনে এসে দাঁড়ালো।উঠে ওকে কোলে তুলে নিলাম।কোলে নিতেই হাত-পা নাড়াতে শুরু করলো।আর বলতে লাগলো।
-- এই কি করছো?পরে যাবো তো?
-- আমার উপর তোমার আস্থা নেই?
-- আছে তো।
-- তাহলে হাত-পা নাড়ানো বন্ধ করো।এখন আমার ছাদে যাবো গিয়ে চন্দ্রবিলাস করবো।
-- সকালে তোমার অফিস আছে তো?
-- সকালে ডেকে তুলার জন্য তো তুমি আছোই।আর কোন কথা হবে না।এখন চন্দ্রবিলাস হবে এইটাই ফাইনাল।
আর কোন কথা বললো না।সিঁড়ি দিয়ে ছাদে উঠার সময় স্নিগ্ধার কানের কাছে মুখ নিয়ে বললাম।
-- ঝগড়া পর্ব শেষ হয়ছে,এখন প্রেম পর্ব শুরু হবে।
সমাপ্ত
written by me.
↓↓↓
লাঞ্চ টাইম শুরু হওয়ার সাথে সাথে স্নিগ্ধার ফোন এল।ফোনটা হাতেই ছিল।স্নিগ্ধাকে ফোন দিব এই মুহূর্তে সেই ফোন দিল।রিসিভ করতেই বললো,
-- অনেক কাজ করছো।এখন গিয়ে খাও তারপর আমাকে ফোন দাও?
-- আচ্ছা।
আমার বলার শেষ হতেই ফোনটা কেটে দিল।আমি জানি, স্নিগ্ধা এখনও খাই না।কারণ প্রতিবেলাই আমার খাওয়ার পরই সে খায়।
চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়ালাম।ক্যান্টিনে গিয়ে লাঞ্চ শেষ করে আবার চেয়ারে গিয়ে বসলাম।ফোনটা হাতে নিয়ে স্নিগ্ধাকে ফোন দিলাম।
-- আমার খাওয়া শেষ এবার তুমি খেয়ে নাও।
-- আচ্ছা, আসবে কখন?
-- প্রতিদিন যে সময় আসি।
-- ওহ, সাবধানে এসো এবং আসার সময় আইসক্রিম আর চকলেট নিয়ে এসো।
-- এইটা তো প্রতিদিনের কাজ, আর কিছু?
-- না
-- তাহলে, এখন রাখি?
-- আচ্ছা
কথা শেষ করে আবার কাজে মনোযোগ দিলাম।অফিস টাইম শেষ হওয়ার আগে স্নিগ্ধা আবার ফোন করলো।
-- বের হয়েছো কি?
-- না, এইতো বের হবো।
-- আচ্ছা, সাবধানে এসো।
-- ওকে, রাখি
এখন ফোন দেয়ার কারণ একটাই যেন তার আইসক্রিম আর চকলেট নিতে ভুল না হয়।তারপরও মাঝেমাঝে নিতে ভুলে যাই।
একদিনের কথা এখনও মনে আছে।সেদিন কিছুই নিয়ে যাই নি।তারপরই শুরু তার অভিমান আর কতো অভিযোগ।আমি তাকে ভালবাসি না,ওই পাশের বাসার ভাবি নাকি ভালবাসি, তার জীবনটা শেষ হয়ে গেছে আমাকে বিয়ে করে,আমি আগের মতো নেই ইত্যাদি ইত্যাদি।
সারাদিন অফিস করে কে চাই এসব শুনতে।তাই অফিসের টেবিলের এককোণায় লিখে রাখছি যে প্রতিদিন আইসক্রিম আর চকলেট নিয়ে বাসায় যেতে হবে।তাই এখন আর এগুলো নিতে ভুল হয় না।
অফিস থেকে বের হয়ে দোকানে যেতেই এক বন্ধুর সাথে দেখা।অনেকদিন দেখা আলাপ কথা বলার জন্য নিরিবিলি জায়গায় গিয়ে বসলাম।
কথা বলতে বলতে প্রায় দশটার বেজে গেল।ফোনটা হাতে নিয়ে দেখি অনেক গুলো মিসকল ভেসে আছে।দেখে মনে মনে বললাম আজ কপালে শনি আছে।
বন্ধুর কাছে থেকে বিদায় নিয়ে তাড়াতাড়ি বাসার দিকে পা বাঁড়ালাম।আমার ফোন সব সময় ভাইব্রেট মুডে থাকে।তাই বুঝতে পারি নি স্নিগ্ধা কল দিচ্ছিলো।
যাওয়ার সময় আইসক্রিম আর চকলেট নিতে ভুল করলাম না।বাসায় গিয়ে কলিংবেল বাজাতেই দরজা খুলে গেল।যেন দরজার ওপারেই দাঁড়িয়ে ছিল।শান্ত দৃষ্টিতে উপর থেকে নিচ পর্যন্ত কয়েকবার পর্যবেক্ষণ করলো।
-- কোন মেয়ের সাথে ছিলে এতোক্ষণ যাবত?
-- ছিঃ ছিঃ, এসব কি বলছো?তুমি ছাড়া কি অন্য মেয়ের সাথে থাকতে পারি।অন্য মেয়েদের সাথে কথা বলা তো দূরের কথা তাকায়েই না।
-- হুম, দেখছি তো কেমন লুইচ্ছার মতো মেয়েদের দিকে তাকিয়ে থাকো।পাশের বাসার বাসার ভাবি আসলেই তোমার লুইচ্ছা মার্কা চাওনি দেখা যায়।
-- এসবের মাঝে আবার ভাবিকে আনছো কেন?
-- ওহ, এখন ভাবির জন্য তোমার কষ্ট হচ্ছে।আমার জন্য তো এতো কষ্ট কোনদিন দেখি নাই।বুঝি বুঝি আমি সব বুঝ!!
-- কি বুঝো তুমি?বলতো শুনি?
-- এইযে তুমি পাশের বাসার ভাবিকে ভালবাসো।আমাকে এখন আর ভালবাসো না।
-- কে বললো তোমাকে এই কথা?
-- কেন আমি বুঝি না।সবই আমার কপাল, কি দেখে যে তোমার প্রেমে পড়েছিলাম।আর কেনইবা তোমাকে বিয়ে করতে গেছিলাম।এখন বুঝতে পারছি আমার ভুলটা।
-- শুধু ভুল না মহাভুল।কেন যে তোমার সাথে প্রেম করতে গেলাম আর কেন যে বিয়ে করতে গেলাম।আগে বুঝতে পারিনি পারলে কখনোই তোমাকে বিয়ে করতাম না।
-- কি বললে তুমি?আমাকে বিয়ে করে তুমি ভুল করছো।আরে তোমার সাত কপালের ভাগ্য যে আমাকে নিয়ে করছো।
-- এইটা তোমার ভুল ধারণা।তোমাকে বিয়ে করা আমার মহাভুল হয়ছে।তোমার থেকে আরো অনেক ভাল মেয়ে বিয়ে করতে পারতাম।
-- তুমি এই কথা বলতে পারলে।তুমি পারবে না কেন এখন তো আর আমাকে ভালবাসো না।আমি বাধা হয়ে দাঁড়িয়ে আছি, তাই না। কালকে সকালেই আমি চলে যাচ্ছি।আর আসবো না।
কথা গুলো বলেই এক দৌড়ে শোয়ার রুমের সাথে আরেকটা রুম আছে।সেই রুমে গিয়ে দরজা আটকিয়ে দিল।অনেকক্ষণ বাইরে থেকে ডাকলাম কিন্তু কাজ হলো না।জানি কাজ হবে না দুষ্টামি বেশিই করে ফেললাম।এতোটা করা ঠিক হয়নি।
-- এই তোমার ব্যাগ গোছানো শেষ হলে, দেখো ফ্রিজে আইসক্রিম আর চকলেট রাখা আছে।
এখন এইটাই শেষ ভরসা।কথা গুলো বলে শোয়ার রুমের দিকে পা বাঁড়ালাম।কাপড় চ্যঞ্জ করে ফ্রেশ হয়ে টিভি রুমে যেতেই দেখি মহারাণী শোফায় পায়ের উপর পা তুলে আয়েশে টিভি দেখছে আর আইসক্রিম খাচ্ছে।
কিছুক্ষণ আগে যে আমাদের ঝগড়া হয়ছে সেটা দেখে বুঝা গেল না।সে তার মতো খেয়ে যাচ্ছে আর টিভি দেখে যাচ্ছে।আমার দিকে তাকানোর প্রয়োজন মনে করলো না।আরেকটু রাগানোর জন্য বললাম।
-- এতো তাড়াতাড়ি ব্যাগ গোছানো শেষ হয়ে গেল?
কথাটি শুনে আমার দিকে তাকালো।যেন কথাটি বলে বোকামি করে ফেলেছি।আর চোখ দিয়ে যেন ভষ্ম করে দিবে।
-- তুমি বলছিলে চলে যাবে।তাই বললাম আরকি।
-- তুমি কি মনে করছো?আমি চলে যাই আর এদিকে তুমি লুইচ্ছামি করে বেরাও থাকতে তা কোনদিন হবার নয়।এতো তাড়াতাড়ি তোমার মুক্তি নেই আমার কাছ থেকে।
-- কে মুক্তি চায় বলো?আচ্ছা,যাইহোক এখন চল খাবো।খুব ক্ষুধা লাগছে।তোমারও তো লাগছে।
-- হুম, চলো।
কথা বলা শেষ হতে দেখি আইসক্রিম শেষ।এখন আমাকে একাই খেতে হবে।টিভি অফ করে খাবার টেবিলের দিকে যেতে লাগলো।আমি আরো কিছু সময় পরে গেলাম।যা ভেবে ছিলাম তাই একাই খেতে হবে টেবিলে একটা প্লেট।বসতে বসতে বললাম।
-- তুমি খাবে না?
-- না,আমার ক্ষুধা নেই।আইসক্রিম আর চকলেট খেয়েই পেট ভরে গেছে।তুমি খেয়ে নাও।
খাওয়া শেষ করে শোয়ার রুমে গিয়ে বসলাম।আর অপেক্ষা করতে লাগলাম কখন আসবে।এখন ওকে সারপ্রাইজ দেয়া বাকি।
স্নিগ্ধা রুমে আসতেই বললাম আমার কাছে আসতে।আমার সামনে এসে দাঁড়ালো।উঠে ওকে কোলে তুলে নিলাম।কোলে নিতেই হাত-পা নাড়াতে শুরু করলো।আর বলতে লাগলো।
-- এই কি করছো?পরে যাবো তো?
-- আমার উপর তোমার আস্থা নেই?
-- আছে তো।
-- তাহলে হাত-পা নাড়ানো বন্ধ করো।এখন আমার ছাদে যাবো গিয়ে চন্দ্রবিলাস করবো।
-- সকালে তোমার অফিস আছে তো?
-- সকালে ডেকে তুলার জন্য তো তুমি আছোই।আর কোন কথা হবে না।এখন চন্দ্রবিলাস হবে এইটাই ফাইনাল।
আর কোন কথা বললো না।সিঁড়ি দিয়ে ছাদে উঠার সময় স্নিগ্ধার কানের কাছে মুখ নিয়ে বললাম।
-- ঝগড়া পর্ব শেষ হয়ছে,এখন প্রেম পর্ব শুরু হবে।
সমাপ্ত
No comments