ডায়েরীর পাতা থেকে
Please read this story....
written by me.
↓↓↓
- তুই বিয়ে করবি,কি করে!তুই না অামার বৌ।
- তোমার কি মাথা নষ্ট। আমি কবে তোমার বৌ হলাম?
- কেন, ভুলে গেছিস? ছোটবেলায় কত্ত কাঁঠাল পাতা হাতে ধরিয়ে দিয়ে বলতি, যাও বাজার করে অানো রান্না করবো। কত্ত বাজার করেছি তোর জন্য।
( মুনা কিছুটা লজ্জা পেলো )
- কি যে বলোনা তুমি। ছোটবেলার কথা এখনো ধরে অাছো?
- কেন ধরবো না বল? দেবো এবার দু একটা চুলের মুঠী ধরে( বলেই চুলে দিলাম এক টান )
- অাম্মু……উহ্। তুমি না বদ। এমন বদের বউ অামি হই
হইবো না।
- অামার বউ না হলে তুই কারো বউ হতে পারবিনা,শাকচুন্নী!
- হাহাহা, ঠাকুরমার ঝুলি। রাইট? মনে অাছে কার্টুনগুলো?
- অামি তোর মত না। যে সব মনে অাছে। সেই বার নানুর বাড়ীর পুকুরে তোকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়ে ছিলাম। তোর সেকি কান্না।
- হ্যাঁ জল্লাদ ছিলে তুমি। অাম্মু বলতো তোমার চুল গুলো স্ট্রেট তাই তোমার জেদবেশি।
- অাচ্ছা, এয়ারপোর্ট অাসলিনা কেন?
- ক্লাশ ছিল।
- ক্লাশ নাকি ডেট ছিল?
- কি যে বলো তুমি। কেন নিউজার্সিতে মেয়েরা বুঝি ডেটিং করে ফিরে?
- ওহ……ওদের সাথে বাঙ্গালী মেয়েদের তুলনা করোনা বেবী।
:
- অারে পথটা এত ছোট কেন? অার একটু থাকতাম একসাথে। মাত্র তো অার অাটটা দিন। এর পর তো তুই অন্যের বউ হয়ে যাবি।
- অাগে মনে ছিল না? এখন কেন বলছো?
- দেশে অাসব তারপর তো বলবো? এত তাড়া কেন তোর বিয়ের? বাঙ্গালী মেয়েরা বিয়ের পিড়িতে বসার জন্য একপায়ে দাড়িয়ে থাকে। তারপর বছর ঘুড়তেই বাচ্চা কোলে নিয়ে খালামনি হয়ে যায়।
- বুঝতে পেরেছি। লেকচার কম। ভালবাসো অামাকে?
- নাহ বাসি না। অন্যের বউকে ভালবাসতে যাবো কোন দুঃখে! যা তুই বিয়ে কর। তারপর সাত বাচ্চার মা হ গিয়ে।
- অার কাহিনী করো না। এবার চলো পৌছে গেছি। সবাই ওয়েট করছে অামাদের জন্য।
:
মান্নান প্রায় অাট বছর পর দেশে এসেছে। মুনা মান্নান এর ছোট খালার মেয়ে। অামেরিকায় বড় হয়েছে,কিন্তু ছোট বেলার খেলার সঙ্গী কে ভুলতে পারেনি। তাই ছোটবেলায় নস্টালজিয়ায় হারাতে মান্নান প্ল্যান করে ওদের নানুর বাড়ীতে অাসে। মান্নান খুব কষ্ট পেয়েছে যখন জানতে পেরেছে মুনার বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে। কিন্তু সে পাগলামী ছাড়তে পারছে না। তাই প্রতিটা কথায় মুনাকে.....……
একদিন••••••••••,,,
:
- পালাবি অামার সাথে?
- এহহ সখ কতো। দুদিন পরে বিয়ে আর অাজ তোমার সাথে পালাবো?
- শাকচূন্নী,সুখি হবি না বলে দিলাম। তুই শুধুই অামার বউ হুমম।
মুনা একটু চমকে ওঠে কথাটা শুনে,মান্নান এর মুখে হাতটা রেখে প্লিজ……অার বলো না।
- শোন, ভালবাসা হলো অারাধনা। সবাই তা করতে পারে না। অামি পারছি না মেনে নিতে।
- সিরিয়াসলি,অামার রক্তক্ষরণ তুই বুঝবিনা।
মান্নান এর নানুর বাড়ী কুমিল্লা শহর থেকে একটু দূরে। দেশে অাসার পর থেকে'ই অস্হির মান্নান। সেটা ওর মায়ের নজর এড়ালো না। ফেরার পথে দুজন একসাথে …………
- অামার হাতটা একটু ধরবি?
- হা ধরলাম। কি হবে হাত ধরলে?
- একটা মহাকাব্য হবে। ইতিহাস ও হতে পারে? একবার পারমিশন দিবি তোকে জড়িয়ে ধরে কাঁদার?
:
ঠিক সন্ধ্যায় মুনা হসপিটালে তার বাম পা জুড়ে প্লাস্টার করা। ব্যাথায় গোংঙ্গাছে। একটু ঠিক হতেই মনে পড়লো ওদের গাড়ী একসিডেন্ট করেছিল। হাসপাতালে শুধু ওদের বাসার বুয়া। অন্য কেউ নেই।
- বুয়া, মা কই? সবাই কই?
- অাফা,খালা বনানী গেছে। মান্নান ভাইয়ার অবস্হা ভাল না।
বুয়ার কথা শেষ হতে না হতেই হাউ,মাউ করে কেঁদে ওঠে মুনা।
:
১২ই জুন। এ দিনটা মুনা সারাদিন অন্যরকম ভাবে কাটায়………
- মান্নান ভাই তোমার প্রতি অামার বড্ড অভিমান। তাই অাজো যাইনি বনানী কবরস্তানে। কেন যাবো? এত অভিমান কেন তোমার? অামার ও অভিমান অাছে। তুমি একা কেন পালালে? অামাকে তো নিতে পারতে সাথে। অাজ ২০ শে অক্টোবর মান্নান এর ৪ র্থ মৃত্যুবার্ষিকী,মুনা কথা গুলো ডায়রিতে লিখছে অার চোখ মুচ্ছে। চোখের দুএকটা ফোটা পরে ডায়েরি পাতা ভিজে যাচ্ছে মুনার যেন কোন খেয়াল নেই। এ্যাকসিডেন্টের পরে মুনার পার্মানেন্ট সঙ্গি একটা হুইল চেয়ার। মাঝে মাঝে বিকল পা'টায় হাত বুলিয়ে বলে……….
- তোমাকে মনে করার জন্য এর চেয়ে বড় উপহার কিছু নেই আর কিছুই হতে পারেনা। ভালই হয়েছে ভালবেসে সাথে তো অাছো…………………
ধন্যবাদ.....
written by me.
↓↓↓
- তুই বিয়ে করবি,কি করে!তুই না অামার বৌ।
- তোমার কি মাথা নষ্ট। আমি কবে তোমার বৌ হলাম?
- কেন, ভুলে গেছিস? ছোটবেলায় কত্ত কাঁঠাল পাতা হাতে ধরিয়ে দিয়ে বলতি, যাও বাজার করে অানো রান্না করবো। কত্ত বাজার করেছি তোর জন্য।
( মুনা কিছুটা লজ্জা পেলো )
- কি যে বলোনা তুমি। ছোটবেলার কথা এখনো ধরে অাছো?
- কেন ধরবো না বল? দেবো এবার দু একটা চুলের মুঠী ধরে( বলেই চুলে দিলাম এক টান )
- অাম্মু……উহ্। তুমি না বদ। এমন বদের বউ অামি হই
হইবো না।
- অামার বউ না হলে তুই কারো বউ হতে পারবিনা,শাকচুন্নী!
- হাহাহা, ঠাকুরমার ঝুলি। রাইট? মনে অাছে কার্টুনগুলো?
- অামি তোর মত না। যে সব মনে অাছে। সেই বার নানুর বাড়ীর পুকুরে তোকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়ে ছিলাম। তোর সেকি কান্না।
- হ্যাঁ জল্লাদ ছিলে তুমি। অাম্মু বলতো তোমার চুল গুলো স্ট্রেট তাই তোমার জেদবেশি।
- অাচ্ছা, এয়ারপোর্ট অাসলিনা কেন?
- ক্লাশ ছিল।
- ক্লাশ নাকি ডেট ছিল?
- কি যে বলো তুমি। কেন নিউজার্সিতে মেয়েরা বুঝি ডেটিং করে ফিরে?
- ওহ……ওদের সাথে বাঙ্গালী মেয়েদের তুলনা করোনা বেবী।
:
- অারে পথটা এত ছোট কেন? অার একটু থাকতাম একসাথে। মাত্র তো অার অাটটা দিন। এর পর তো তুই অন্যের বউ হয়ে যাবি।
- অাগে মনে ছিল না? এখন কেন বলছো?
- দেশে অাসব তারপর তো বলবো? এত তাড়া কেন তোর বিয়ের? বাঙ্গালী মেয়েরা বিয়ের পিড়িতে বসার জন্য একপায়ে দাড়িয়ে থাকে। তারপর বছর ঘুড়তেই বাচ্চা কোলে নিয়ে খালামনি হয়ে যায়।
- বুঝতে পেরেছি। লেকচার কম। ভালবাসো অামাকে?
- নাহ বাসি না। অন্যের বউকে ভালবাসতে যাবো কোন দুঃখে! যা তুই বিয়ে কর। তারপর সাত বাচ্চার মা হ গিয়ে।
- অার কাহিনী করো না। এবার চলো পৌছে গেছি। সবাই ওয়েট করছে অামাদের জন্য।
:
মান্নান প্রায় অাট বছর পর দেশে এসেছে। মুনা মান্নান এর ছোট খালার মেয়ে। অামেরিকায় বড় হয়েছে,কিন্তু ছোট বেলার খেলার সঙ্গী কে ভুলতে পারেনি। তাই ছোটবেলায় নস্টালজিয়ায় হারাতে মান্নান প্ল্যান করে ওদের নানুর বাড়ীতে অাসে। মান্নান খুব কষ্ট পেয়েছে যখন জানতে পেরেছে মুনার বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে। কিন্তু সে পাগলামী ছাড়তে পারছে না। তাই প্রতিটা কথায় মুনাকে.....……
একদিন••••••••••,,,
:
- পালাবি অামার সাথে?
- এহহ সখ কতো। দুদিন পরে বিয়ে আর অাজ তোমার সাথে পালাবো?
- শাকচূন্নী,সুখি হবি না বলে দিলাম। তুই শুধুই অামার বউ হুমম।
মুনা একটু চমকে ওঠে কথাটা শুনে,মান্নান এর মুখে হাতটা রেখে প্লিজ……অার বলো না।
- শোন, ভালবাসা হলো অারাধনা। সবাই তা করতে পারে না। অামি পারছি না মেনে নিতে।
- সিরিয়াসলি,অামার রক্তক্ষরণ তুই বুঝবিনা।
মান্নান এর নানুর বাড়ী কুমিল্লা শহর থেকে একটু দূরে। দেশে অাসার পর থেকে'ই অস্হির মান্নান। সেটা ওর মায়ের নজর এড়ালো না। ফেরার পথে দুজন একসাথে …………
- অামার হাতটা একটু ধরবি?
- হা ধরলাম। কি হবে হাত ধরলে?
- একটা মহাকাব্য হবে। ইতিহাস ও হতে পারে? একবার পারমিশন দিবি তোকে জড়িয়ে ধরে কাঁদার?
:
ঠিক সন্ধ্যায় মুনা হসপিটালে তার বাম পা জুড়ে প্লাস্টার করা। ব্যাথায় গোংঙ্গাছে। একটু ঠিক হতেই মনে পড়লো ওদের গাড়ী একসিডেন্ট করেছিল। হাসপাতালে শুধু ওদের বাসার বুয়া। অন্য কেউ নেই।
- বুয়া, মা কই? সবাই কই?
- অাফা,খালা বনানী গেছে। মান্নান ভাইয়ার অবস্হা ভাল না।
বুয়ার কথা শেষ হতে না হতেই হাউ,মাউ করে কেঁদে ওঠে মুনা।
:
১২ই জুন। এ দিনটা মুনা সারাদিন অন্যরকম ভাবে কাটায়………
- মান্নান ভাই তোমার প্রতি অামার বড্ড অভিমান। তাই অাজো যাইনি বনানী কবরস্তানে। কেন যাবো? এত অভিমান কেন তোমার? অামার ও অভিমান অাছে। তুমি একা কেন পালালে? অামাকে তো নিতে পারতে সাথে। অাজ ২০ শে অক্টোবর মান্নান এর ৪ র্থ মৃত্যুবার্ষিকী,মুনা কথা গুলো ডায়রিতে লিখছে অার চোখ মুচ্ছে। চোখের দুএকটা ফোটা পরে ডায়েরি পাতা ভিজে যাচ্ছে মুনার যেন কোন খেয়াল নেই। এ্যাকসিডেন্টের পরে মুনার পার্মানেন্ট সঙ্গি একটা হুইল চেয়ার। মাঝে মাঝে বিকল পা'টায় হাত বুলিয়ে বলে……….
- তোমাকে মনে করার জন্য এর চেয়ে বড় উপহার কিছু নেই আর কিছুই হতে পারেনা। ভালই হয়েছে ভালবেসে সাথে তো অাছো…………………
ধন্যবাদ.....
No comments