😍romantic😍
This story totally romantic.so,read it.
written by me.....
↓↓↓
এই অনিক, শুনছো?
অনিক পিছনে ফিরে তাকাতেই দেখে তুলি দূর থেকে ডাকছে। কাছে আসতেই অনিক তুলি কে বললো - কি বলবে বলো।
তুলিঃ ভালো লাগছে না। চলো কোথায়ও ঘুরে আসি। নিয়ে যাবে আমাকে?
অনিকঃ ক্লাস ?
তুলিঃ আজ ক্লাস হবে না। ক্লাসটিচার বলে দিয়েছেন। নিবে?
অনিকঃ চলো। কোথায় যাবে?
তুলিঃ যে দিকে দু"চোখ যায়। নিয়ে যাবে আমাকে?
অনিকঃ চলো - আজ এমন একটা জায়গায় তোমাকে নিয়ে যাবো যেখানে এর আগে তোমাকে কখনো নিয়ে যাই নাই।
তুলিঃ তাই? তাহলে চলো- দেখি তোমার সেই জায়গাটা।
ক্লাসের ফাকে সময় পেলেই অনিক এবং তুলি এভাবে ঘুরতে পছন্দ করে। কিন্তু সেটা খুব অল্প সময়ের জন্যই। তুলি কোন আবদার করলে অনিক সে আবদারটা সবসময়ই রাখার চেষ্টা করে। সে কারনেই তুলির অনিক কে অন্যরকম ভালো লাগে। কারন, অনিকের মতো করে তাকে আর কেউ বুঝবে না। কিন্তু, সেই ভালো লাগাটা তুলি অনিক কে সহজে বুঝতে দেয় না।
দু"জনেই চারুকলার স্টুডেন্ট। ভার্সিটি লাইফের সেই প্রথমদিন থেকেই দু"জনার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। অনিক কিছুটা লাজুক প্রকৃতির ছেলে। তাই আগ বাড়িয়ে বন্ধুত্তের প্রস্তাবটা তুলিই অনিক কে দিয়েছে। আর অনিকও তুলির বন্ধুত্বটাকে অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে নিয়েছে। সেই থেকেই দু"জনে একসাথে। একসাথে চলতে গিয়ে তুলিকে যে অনিক কখন যে নিজের অজান্তেই ভালবেসে ফেলেছে সে নিজেই বুঝতে পারে নি...।
সময় ঘড়িয়ে যায়! সম্পর্কের গবিরতাও বাড়তে থাকে। কিন্তু, অনিক কিছুতেই মনের অভিব্যাক্তি তুলি কে জানাতে পারে না। সিদ্ধান্ত নিলো সরাসরি না জানিয়ে চিরকুটের মাধ্যমেই অনিক তার মনের গোপন কথা তুলি কে জানাবে।
বাসার ছাদে গিয়ে নীল আকাশটা কল্পনা করে অনিক তার হৃদয়ের সমস্থ ভালবাসা এবং আবেগ দিয়ে চিরকুট লিখতে চেষ্টা করে। বারবার ব্যার্থ হয়ে আবার ছুড়ে ফেলে দেয়।
হটাৎ অনিকের মাথায় খানিকটা চিন্তার ভাঁজ!! যদি তুলি এই চিরকুট রিফিউজ করে, যদি সে আমাদের এই সম্পর্কটাকে স্রেফ বন্ধুত্বের দৃষ্টিতে দেখে। এসব কারনে যদি তুলিকে অনিকের চিরতরে হারাতে হয়। এসব ভেবে অনিক পিছু হাটা শুরু করে। চিরকুটটা মুচড়ে ছাদ থেকে রাস্তায় ফেলে দেয়।
সেই সময় সেই রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলো এক পথচারী। চিরকুটটি তার পায়ের কাছে গিয়ে পড়লো। পথচারী চিরকুটটি হাতে নিলো এবং চিরকুটের লিখাগুলো তার এতটাই ভালো লেগে যায় যে সে চিরকুটটি সংগ্রহের জন্য তার মানিব্যাগে নিয়ে নেয়।
সেই পথচারীটি আমচকাই আবার পকেট মারের শিকার হয়ে মানিব্যাগটি হারিয়ে ফেলে। পকেটমার মানিব্যাগ থেকে টাকা পয়সা চেক করতে গিয়ে সেই চিরকুটটি পায়। সে ওই চিরকুট খানা পড়তে থাকে। হটাৎ পকেটমারকে কয়েকটা ছেলে তাড়া করে। সে রাস্তা দিয়ে দোড়ানোর সময় মোড় দিতেই ধাক্কা খায় এক ছেলের সাথে। ধাক্কা খেয়ে পকেটমারটির হাত থেকে সেই চিরকুটখানা পরে যায় সেই ছেলের সামনে।
ছেলেটি সেই চিরকুটখানা হাতে নিয়ে একটা রিকশা ডাক দিয়ে সেই রিকশায় উঠে চিরকুটটি পড়তে থাকে। পড়া শেষে সেই চিরকুটটি সে রিকশায় ফেলে নেমে যায়। ঠিক এমন সময়ে তুলি সেই রিকশাওয়ালাকে ডাক দিয়ে সেই রিকশায় উঠে পড়ে ভার্সিটি যাবার জন্য। উঠে মোবাইলটা ব্যাগ থেকে নিয়ে অনিক কে ফোন দিতে যাবে এমন সময়ই তুলির চোখে পড়ে সেই চিরকুটটি। ফোন না দিয়ে কৌতূহলবসত চিরকুটটি হাতে নিয়ে পড়তে থাকে তুলি -
প্রিয় তুলি,
অনেক মানুষের ভিড়ে সবসময় অনেক অল্প সময়ের জন্যই দেখতে পাই তোমাকে। কিন্তু তারপর চিন্তা জগতের অনেকটা জুড়েই অনেক্ষন থাকো তুমি। তুমি কি জানো ওই রেললাইনটির কথা? রেললাইনটি ধরে আমি হাঁটছিলাম। কোথাও একটা মানুষও ছিল না। দূর থেকে একটা ট্রেন আসছিল। কিন্তু আমি ভয় পাইনি। কারন, আমি ছিলাম নিঃসঙ্গ। দু"চখে হটাৎ তোমার মুখটা ভেসে উঠলো। আমার মধ্যে কোথায় যেন একটা ঝড় ভয়ে গেলো। আমার ভয় লাগা শুরু হলো। মনে হলো হয়তো আমি তোমার জন্যই জন্মেছি। তোমাকে পাওয়ার জন্য হলেও আমাকে বাঁচতে হবে।
তারপর আমি তো বাঁচলাম। তুমি আমাকে বাঁচতে শেখালে। এখন তোমাকে ছাড়া আর কিছুই বুঝি না। এই চিরকুটটি তুমি পাবে না কোনদিন। তারপরও হয়তো নিজেকে শুনিয়ে নিজেই বলছি " আমি তোমাকে --- ভালবেসে ফেলেছি "
চিরকুটটি পড়ে তুলির চোখ দিয়ে অশ্রু গড়িয়ে পড়ছিল। নিজেকে সামলে নিয়ে তুলি ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতেই দেখে অনিক মাঠের কোন এককোনায় একা একা গিটার বাজাচ্ছে। তুলি কিছুটা রাগান্বিত হয়ে এগিয়ে গেলো অনিকের কাছে। হাতে সেই চিরকুটখানা। অনিক বিস্ময়ে দাড়িয়ে তুলির হাতের দিকে তাকিয়ে সেই চিরকুটখানা দেখে বুঝতে দেরি হয়নি যে এটা তার লেখা। ভিতরে ভিতরে অনিক ভয়ে শেষ হয়ে যাচ্ছে। কি বলবে তুলি কে ভেবেই পাচ্ছে না।
আমি ---- অনিক কথা বলতে চাইতেই তুলি অনিক কে থামিয়ে দিলো। অনিক এবার চোখ নিচে নামিয়ে ফেললো। লজ্জায় তুলির দিকে তাকাতেই পারছে না।
তুলি এবার অনিকের দিকে তার হাতটি বাড়িয়ে দিয়ে বললো - অনিক, এইদিকে তাকাও। অনিক উপরে তাকাতেই দেখে তুলি তার হাতটা অনিক কে বাড়িয়ে দিয়েছে। অনিকও এবার লাজুক একটা হাসি দিয়ে পরম মমতায় তুলির হাতটি ধরে নিলো। ভালবাসায় সিক্ত হয়ে দু"জনে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে লাগলো।
তাদের এই পথ শেষ হবার নয়। অসীমের উদ্দেশ্যে পাড়ি দেয়ার। ভালবাসার শেষবিন্দুটুকু ছুঁয়ে দেখার
ধন্যবাদ..... 👍👍👍
written by me.....
Add caption |
এই অনিক, শুনছো?
অনিক পিছনে ফিরে তাকাতেই দেখে তুলি দূর থেকে ডাকছে। কাছে আসতেই অনিক তুলি কে বললো - কি বলবে বলো।
তুলিঃ ভালো লাগছে না। চলো কোথায়ও ঘুরে আসি। নিয়ে যাবে আমাকে?
অনিকঃ ক্লাস ?
তুলিঃ আজ ক্লাস হবে না। ক্লাসটিচার বলে দিয়েছেন। নিবে?
অনিকঃ চলো। কোথায় যাবে?
তুলিঃ যে দিকে দু"চোখ যায়। নিয়ে যাবে আমাকে?
অনিকঃ চলো - আজ এমন একটা জায়গায় তোমাকে নিয়ে যাবো যেখানে এর আগে তোমাকে কখনো নিয়ে যাই নাই।
তুলিঃ তাই? তাহলে চলো- দেখি তোমার সেই জায়গাটা।
ক্লাসের ফাকে সময় পেলেই অনিক এবং তুলি এভাবে ঘুরতে পছন্দ করে। কিন্তু সেটা খুব অল্প সময়ের জন্যই। তুলি কোন আবদার করলে অনিক সে আবদারটা সবসময়ই রাখার চেষ্টা করে। সে কারনেই তুলির অনিক কে অন্যরকম ভালো লাগে। কারন, অনিকের মতো করে তাকে আর কেউ বুঝবে না। কিন্তু, সেই ভালো লাগাটা তুলি অনিক কে সহজে বুঝতে দেয় না।
দু"জনেই চারুকলার স্টুডেন্ট। ভার্সিটি লাইফের সেই প্রথমদিন থেকেই দু"জনার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। অনিক কিছুটা লাজুক প্রকৃতির ছেলে। তাই আগ বাড়িয়ে বন্ধুত্তের প্রস্তাবটা তুলিই অনিক কে দিয়েছে। আর অনিকও তুলির বন্ধুত্বটাকে অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে নিয়েছে। সেই থেকেই দু"জনে একসাথে। একসাথে চলতে গিয়ে তুলিকে যে অনিক কখন যে নিজের অজান্তেই ভালবেসে ফেলেছে সে নিজেই বুঝতে পারে নি...।
সময় ঘড়িয়ে যায়! সম্পর্কের গবিরতাও বাড়তে থাকে। কিন্তু, অনিক কিছুতেই মনের অভিব্যাক্তি তুলি কে জানাতে পারে না। সিদ্ধান্ত নিলো সরাসরি না জানিয়ে চিরকুটের মাধ্যমেই অনিক তার মনের গোপন কথা তুলি কে জানাবে।
বাসার ছাদে গিয়ে নীল আকাশটা কল্পনা করে অনিক তার হৃদয়ের সমস্থ ভালবাসা এবং আবেগ দিয়ে চিরকুট লিখতে চেষ্টা করে। বারবার ব্যার্থ হয়ে আবার ছুড়ে ফেলে দেয়।
হটাৎ অনিকের মাথায় খানিকটা চিন্তার ভাঁজ!! যদি তুলি এই চিরকুট রিফিউজ করে, যদি সে আমাদের এই সম্পর্কটাকে স্রেফ বন্ধুত্বের দৃষ্টিতে দেখে। এসব কারনে যদি তুলিকে অনিকের চিরতরে হারাতে হয়। এসব ভেবে অনিক পিছু হাটা শুরু করে। চিরকুটটা মুচড়ে ছাদ থেকে রাস্তায় ফেলে দেয়।
সেই সময় সেই রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলো এক পথচারী। চিরকুটটি তার পায়ের কাছে গিয়ে পড়লো। পথচারী চিরকুটটি হাতে নিলো এবং চিরকুটের লিখাগুলো তার এতটাই ভালো লেগে যায় যে সে চিরকুটটি সংগ্রহের জন্য তার মানিব্যাগে নিয়ে নেয়।
সেই পথচারীটি আমচকাই আবার পকেট মারের শিকার হয়ে মানিব্যাগটি হারিয়ে ফেলে। পকেটমার মানিব্যাগ থেকে টাকা পয়সা চেক করতে গিয়ে সেই চিরকুটটি পায়। সে ওই চিরকুট খানা পড়তে থাকে। হটাৎ পকেটমারকে কয়েকটা ছেলে তাড়া করে। সে রাস্তা দিয়ে দোড়ানোর সময় মোড় দিতেই ধাক্কা খায় এক ছেলের সাথে। ধাক্কা খেয়ে পকেটমারটির হাত থেকে সেই চিরকুটখানা পরে যায় সেই ছেলের সামনে।
ছেলেটি সেই চিরকুটখানা হাতে নিয়ে একটা রিকশা ডাক দিয়ে সেই রিকশায় উঠে চিরকুটটি পড়তে থাকে। পড়া শেষে সেই চিরকুটটি সে রিকশায় ফেলে নেমে যায়। ঠিক এমন সময়ে তুলি সেই রিকশাওয়ালাকে ডাক দিয়ে সেই রিকশায় উঠে পড়ে ভার্সিটি যাবার জন্য। উঠে মোবাইলটা ব্যাগ থেকে নিয়ে অনিক কে ফোন দিতে যাবে এমন সময়ই তুলির চোখে পড়ে সেই চিরকুটটি। ফোন না দিয়ে কৌতূহলবসত চিরকুটটি হাতে নিয়ে পড়তে থাকে তুলি -
প্রিয় তুলি,
অনেক মানুষের ভিড়ে সবসময় অনেক অল্প সময়ের জন্যই দেখতে পাই তোমাকে। কিন্তু তারপর চিন্তা জগতের অনেকটা জুড়েই অনেক্ষন থাকো তুমি। তুমি কি জানো ওই রেললাইনটির কথা? রেললাইনটি ধরে আমি হাঁটছিলাম। কোথাও একটা মানুষও ছিল না। দূর থেকে একটা ট্রেন আসছিল। কিন্তু আমি ভয় পাইনি। কারন, আমি ছিলাম নিঃসঙ্গ। দু"চখে হটাৎ তোমার মুখটা ভেসে উঠলো। আমার মধ্যে কোথায় যেন একটা ঝড় ভয়ে গেলো। আমার ভয় লাগা শুরু হলো। মনে হলো হয়তো আমি তোমার জন্যই জন্মেছি। তোমাকে পাওয়ার জন্য হলেও আমাকে বাঁচতে হবে।
তারপর আমি তো বাঁচলাম। তুমি আমাকে বাঁচতে শেখালে। এখন তোমাকে ছাড়া আর কিছুই বুঝি না। এই চিরকুটটি তুমি পাবে না কোনদিন। তারপরও হয়তো নিজেকে শুনিয়ে নিজেই বলছি " আমি তোমাকে --- ভালবেসে ফেলেছি "
চিরকুটটি পড়ে তুলির চোখ দিয়ে অশ্রু গড়িয়ে পড়ছিল। নিজেকে সামলে নিয়ে তুলি ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতেই দেখে অনিক মাঠের কোন এককোনায় একা একা গিটার বাজাচ্ছে। তুলি কিছুটা রাগান্বিত হয়ে এগিয়ে গেলো অনিকের কাছে। হাতে সেই চিরকুটখানা। অনিক বিস্ময়ে দাড়িয়ে তুলির হাতের দিকে তাকিয়ে সেই চিরকুটখানা দেখে বুঝতে দেরি হয়নি যে এটা তার লেখা। ভিতরে ভিতরে অনিক ভয়ে শেষ হয়ে যাচ্ছে। কি বলবে তুলি কে ভেবেই পাচ্ছে না।
আমি ---- অনিক কথা বলতে চাইতেই তুলি অনিক কে থামিয়ে দিলো। অনিক এবার চোখ নিচে নামিয়ে ফেললো। লজ্জায় তুলির দিকে তাকাতেই পারছে না।
তুলি এবার অনিকের দিকে তার হাতটি বাড়িয়ে দিয়ে বললো - অনিক, এইদিকে তাকাও। অনিক উপরে তাকাতেই দেখে তুলি তার হাতটা অনিক কে বাড়িয়ে দিয়েছে। অনিকও এবার লাজুক একটা হাসি দিয়ে পরম মমতায় তুলির হাতটি ধরে নিলো। ভালবাসায় সিক্ত হয়ে দু"জনে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে লাগলো।
তাদের এই পথ শেষ হবার নয়। অসীমের উদ্দেশ্যে পাড়ি দেয়ার। ভালবাসার শেষবিন্দুটুকু ছুঁয়ে দেখার
ধন্যবাদ..... 👍👍👍
No comments