নিশি 😭😍
Today I am going to tell you romantic bangla story.I hope you enjoy this.And this is my first bangla story....
written by me. 👍👍👍
↓↓↓
নিশি"র সাথে আমার সম্পর্ক চার বছরের। যেদিন
একটা গ্রুপে তার ছবি ভাইরাল হতে দেখেছিলাম
সেদিন আর রাতে ঘুমোতে পারিনি। মনে মনে ভাবছিলাম "আমার এত দিনের রিলেশন যার সাথে তার ছবি মানুষের মোবাইলে মোবাইলে ভাইরাল হয়ে একজন আরেকজনকে বলা বলি শুরু করেছে,দোস্ত দেখ কি সুন্দর মালটা,রাতে তাকে অনেক কল দিয়েও তার সাথে আমার
কথা বলা সম্ভব হয়নি, কারন তখন সে গ্রুপের ছবি আপলোডে সুন্দরিদের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করে উদযাপনে ব্যস্ত ছিল।
পরেরদিন খুব সকালে তাকে ডেকে নিয়ে
বলেছিলাম,"নিশি,তোমার আমার চার বছরের সম্পর্ক, লাভ ইউ দিয়ে শুরু হয়েছে আর হেট ইউ দিয়ে শেষ হউক এইটা আমি চাইনা।আমি চাই আমাদের প্রেমের সম্পর্কটা যেন সবাই সম্মানের চোখে দেখে, সবাই মেনে নেয়,তাই আমি এই সম্পর্কটার ভবিষ্যৎ দিতে চেয়েছিলাম।আজ তুমি এক গ্রুপ থেকে আরেক গ্রুপে ছবি দিচ্ছ,ভাবছো নিজেকে ফ্যামাস আর সেলিব্রেটি করে নিজেকে সার্থকতার শিকড়ে নিয়ে যাচ্ছ কিন্তু এটা মনে রেখো, আমাদের পরবর্তী একটা প্রজন্ম আসবে, আমাদের ছেলে মেয়ে হবে।শুনো, আমিতো মানুষ, আমার গার্লফ্রেন্ডের ছবিতে অন্য ছেলেরা কমেন্ট
করবে সেটা আমার খুব গায়ে লাগে, আমর খুব
হিংসেবোধ হয়, আর এই হিংসেবোধের নাম ই
হচ্ছে ভালোবাসা।
নিশি শুনো, আমি তোমার সাথে কাদতে চাই কিন্তু
সেই কান্না তোমার জন্য নয়, আমি তোমার সাথে
সারাটা জীবন কাটাতে চাই শুধু একদিক আর দু'দিনের জন্য নয়।সে আমাকে উত্তর দিয়েছিল
"রিয়াদ বর্তমানে এই সোসাইটি টা আধুনিক সোসাইটি,সেটা তুমি কেন বোঝার চেষ্টা করছনা"আমি তাকে বলেছিলাম,"এই যে বার বার ফোন করে লাভ ইউ, জানু, বেইবি,বাবু বল এইটাওতো ঠিক না কারণ আমাদের সম্পর্ক দুই একদিনের জন্য না।আর আজকাল আরেকটা বিষয় খেয়াল করলামআমাদের কিছু একান্ত সময়ের কিছু ছবি যেমন,রেস্টুরেন্টে একসাথে খাওয়ার ছবি,পার্কে বসে আছি এমন সময়ের সেল্ফি, গুরুত্বপূর্ণ কথা বলছি সেই সময়ের ছবি তুমি ফেসবুকে আপলোড দিচ্ছো,নিশি তুমি হয়ত জাননা,সেই সময়,সেই মুহূর্ত,আমাদের খুব একান্ত, এই সময় ফেসবুকে আপলোডের সময় না,অন্য কারো সাথে শেয়ার করার না,এই সময় শুধু তোমার আর আমার।সে বলেছিল,"রিয়াদ। ওরাতো আমার ফ্রেন্ড, জাস্ট ফ্রেন্ড"!!
আমি উত্তর দিয়েছিলাম,"আমিওতো একসময় তোমার জাস্ট ফ্রেন্ড ছিলাম।কিন্তু এখন বয়ফ্রেন্ড"
আরো বলেছিলাম,"নিশি, ছোট ছোট ব্যাপার গুলো ইম্পরট্যান্স না দিলে অনেক সময় সংসারে অনেক বড় বড়প্রবলেম হয় এমনকি ডিভোর্স পর্যন্ত হয়ে যায়"আমাকে কিছুদিন পরে সে পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছিলো"আমি ব্রেকাপ চাচ্ছি রিয়াদ,এ সম্পর্ক আমি আর টিকিয়ে রাখতে চাচ্ছিনা"তাকে অনেকবার জিজ্ঞেস করার পরেও কারণ টা জানতে পারিনি, তবে সে আমাকে শুধু এতটুকোই বলেছিল,"রিয়াদ, আমি বাধাহীন হয়ে উড়তে চাই"সে তার মত আর আমি আমার মত চললাম কারণ আমি জানতাম, জীবন কখনো থেমে থাকেনা, তবে কিছু সময় থেমে থাকে, কিছু মানুষের অনুপস্থিতিতে। সেটা হাড়ে হাড়ে টের
পেয়েছিলাম।
↓↓↓
দুই বছর পর আমার বউকে নিয়ে সেই পুরনো
রেস্টুরেন্টে গেলাম, আমি বের হয়ে হঠাৎ
সেই প্রিয় সেই নিশি"র সাথে দেখা, কেমন
আছো জিজ্ঞেস করেছিলাম।সে উত্তর দিতে গিয়ে কান্না জড়িত কন্ঠে বলেছিলো,"শুধু বেচে আছি রিয়াদ, দুইবার সুইসাইড করার ব্যর্থ চেষ্টা করেছিলাম, অবশেসে ডিভোর্স নিয়ে
চলে এসেছি, আজ আর সেই বন্ধুরা নেই, নেই
কোন শুভাকাঙ্ক্ষী, সুন্দরি প্রতিযোগিতায় যারা আমার ছবিতে "ওয়াও, নাইস, বিউটিফুল, অসাম," লিখত,যারা আলটাইম আমার ইনবক্স হাই, হ্যালো, দিয়েআমাকে ব্যস্ত রাখতো তারাও আজ নিজের প্রয়োজনে কোথায় হারিয়ে গেছে, ফ্রেন্ড বলে যাদের দাবি করে বার বার শেষ ভরসা হিসেবেচেয়েছি তারাই চিনেও না চেনার ভান করেছে।আমার কথা বাদ দাও রিয়াদ
তুমি কেমন আছো?
এই কথা জিজ্ঞেস করতে না করতেই আমার বউ
রেস্টুরেন্ট থেকে বের হয়ে নিধির দিকে
তাকিয়ে নিধিকে জিজ্ঞেস করতেছে,
"আরে আপনি সেই মেয়ে!!! অনলাইন সংক্রান্ত
বিষয় নিয়ে মারামারি করে হাসপাতালে ভর্তি
ছিলেন,আমি নিজেই আপনাকে ট্রিটমেন্ট
দিয়েছিলাম, মনে আছে?অবাক হচ্ছি আপনাকে
দেখে, সেদিন আপনার হাজব্যন্ড আপনাকে
মেরেই ফেলত, যদি আরেকুটু অত্যাচার করতো,
আমি একজন ডাক্তার হয়েও প্রথমে কিছুটা ভয়
পেয়েছিলাম আপনাকে দেখে, যাক এতো
রক্তক্ষরণ হয়েও বেচে আছেন, আপনি অনেক
লাকি, ওকে বাই"
আমার বউ আমার হাতটি ধরে সামনে এগিয়ে
যাচ্ছিলো আর নিশি পেছন থেকে আমাদের
দুজনের চলে যাওয়াটা খুব অসহায় দৃস্টিতে তাকিয়েদেখছিলো।আমার বউ আমাকে জিজ্ঞেস করেছিলো,"রিয়াদ ওই মেয়েটা তোমার পরিচিত নাকি"মোবাইলের স্ক্রিনে টাচ করে নিজেকে ব্যস্ত
রাখার অজুহাতে ওর প্রশ্ন টা শুনেও না শুনার ভান করা ছাড়া সেদিন আর কোন উপায় ছিলোনা।
THANKS...... ☺☺☺
written by me. 👍👍👍
↓↓↓
নিশি"র সাথে আমার সম্পর্ক চার বছরের। যেদিন
একটা গ্রুপে তার ছবি ভাইরাল হতে দেখেছিলাম
সেদিন আর রাতে ঘুমোতে পারিনি। মনে মনে ভাবছিলাম "আমার এত দিনের রিলেশন যার সাথে তার ছবি মানুষের মোবাইলে মোবাইলে ভাইরাল হয়ে একজন আরেকজনকে বলা বলি শুরু করেছে,দোস্ত দেখ কি সুন্দর মালটা,রাতে তাকে অনেক কল দিয়েও তার সাথে আমার
কথা বলা সম্ভব হয়নি, কারন তখন সে গ্রুপের ছবি আপলোডে সুন্দরিদের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করে উদযাপনে ব্যস্ত ছিল।
পরেরদিন খুব সকালে তাকে ডেকে নিয়ে
বলেছিলাম,"নিশি,তোমার আমার চার বছরের সম্পর্ক, লাভ ইউ দিয়ে শুরু হয়েছে আর হেট ইউ দিয়ে শেষ হউক এইটা আমি চাইনা।আমি চাই আমাদের প্রেমের সম্পর্কটা যেন সবাই সম্মানের চোখে দেখে, সবাই মেনে নেয়,তাই আমি এই সম্পর্কটার ভবিষ্যৎ দিতে চেয়েছিলাম।আজ তুমি এক গ্রুপ থেকে আরেক গ্রুপে ছবি দিচ্ছ,ভাবছো নিজেকে ফ্যামাস আর সেলিব্রেটি করে নিজেকে সার্থকতার শিকড়ে নিয়ে যাচ্ছ কিন্তু এটা মনে রেখো, আমাদের পরবর্তী একটা প্রজন্ম আসবে, আমাদের ছেলে মেয়ে হবে।শুনো, আমিতো মানুষ, আমার গার্লফ্রেন্ডের ছবিতে অন্য ছেলেরা কমেন্ট
করবে সেটা আমার খুব গায়ে লাগে, আমর খুব
হিংসেবোধ হয়, আর এই হিংসেবোধের নাম ই
হচ্ছে ভালোবাসা।
নিশি শুনো, আমি তোমার সাথে কাদতে চাই কিন্তু
সেই কান্না তোমার জন্য নয়, আমি তোমার সাথে
সারাটা জীবন কাটাতে চাই শুধু একদিক আর দু'দিনের জন্য নয়।সে আমাকে উত্তর দিয়েছিল
"রিয়াদ বর্তমানে এই সোসাইটি টা আধুনিক সোসাইটি,সেটা তুমি কেন বোঝার চেষ্টা করছনা"আমি তাকে বলেছিলাম,"এই যে বার বার ফোন করে লাভ ইউ, জানু, বেইবি,বাবু বল এইটাওতো ঠিক না কারণ আমাদের সম্পর্ক দুই একদিনের জন্য না।আর আজকাল আরেকটা বিষয় খেয়াল করলামআমাদের কিছু একান্ত সময়ের কিছু ছবি যেমন,রেস্টুরেন্টে একসাথে খাওয়ার ছবি,পার্কে বসে আছি এমন সময়ের সেল্ফি, গুরুত্বপূর্ণ কথা বলছি সেই সময়ের ছবি তুমি ফেসবুকে আপলোড দিচ্ছো,নিশি তুমি হয়ত জাননা,সেই সময়,সেই মুহূর্ত,আমাদের খুব একান্ত, এই সময় ফেসবুকে আপলোডের সময় না,অন্য কারো সাথে শেয়ার করার না,এই সময় শুধু তোমার আর আমার।সে বলেছিল,"রিয়াদ। ওরাতো আমার ফ্রেন্ড, জাস্ট ফ্রেন্ড"!!
আমি উত্তর দিয়েছিলাম,"আমিওতো একসময় তোমার জাস্ট ফ্রেন্ড ছিলাম।কিন্তু এখন বয়ফ্রেন্ড"
আরো বলেছিলাম,"নিশি, ছোট ছোট ব্যাপার গুলো ইম্পরট্যান্স না দিলে অনেক সময় সংসারে অনেক বড় বড়প্রবলেম হয় এমনকি ডিভোর্স পর্যন্ত হয়ে যায়"আমাকে কিছুদিন পরে সে পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছিলো"আমি ব্রেকাপ চাচ্ছি রিয়াদ,এ সম্পর্ক আমি আর টিকিয়ে রাখতে চাচ্ছিনা"তাকে অনেকবার জিজ্ঞেস করার পরেও কারণ টা জানতে পারিনি, তবে সে আমাকে শুধু এতটুকোই বলেছিল,"রিয়াদ, আমি বাধাহীন হয়ে উড়তে চাই"সে তার মত আর আমি আমার মত চললাম কারণ আমি জানতাম, জীবন কখনো থেমে থাকেনা, তবে কিছু সময় থেমে থাকে, কিছু মানুষের অনুপস্থিতিতে। সেটা হাড়ে হাড়ে টের
পেয়েছিলাম।
😍😍😍😍 |
দুই বছর পর আমার বউকে নিয়ে সেই পুরনো
রেস্টুরেন্টে গেলাম, আমি বের হয়ে হঠাৎ
সেই প্রিয় সেই নিশি"র সাথে দেখা, কেমন
আছো জিজ্ঞেস করেছিলাম।সে উত্তর দিতে গিয়ে কান্না জড়িত কন্ঠে বলেছিলো,"শুধু বেচে আছি রিয়াদ, দুইবার সুইসাইড করার ব্যর্থ চেষ্টা করেছিলাম, অবশেসে ডিভোর্স নিয়ে
চলে এসেছি, আজ আর সেই বন্ধুরা নেই, নেই
কোন শুভাকাঙ্ক্ষী, সুন্দরি প্রতিযোগিতায় যারা আমার ছবিতে "ওয়াও, নাইস, বিউটিফুল, অসাম," লিখত,যারা আলটাইম আমার ইনবক্স হাই, হ্যালো, দিয়েআমাকে ব্যস্ত রাখতো তারাও আজ নিজের প্রয়োজনে কোথায় হারিয়ে গেছে, ফ্রেন্ড বলে যাদের দাবি করে বার বার শেষ ভরসা হিসেবেচেয়েছি তারাই চিনেও না চেনার ভান করেছে।আমার কথা বাদ দাও রিয়াদ
তুমি কেমন আছো?
এই কথা জিজ্ঞেস করতে না করতেই আমার বউ
রেস্টুরেন্ট থেকে বের হয়ে নিধির দিকে
তাকিয়ে নিধিকে জিজ্ঞেস করতেছে,
"আরে আপনি সেই মেয়ে!!! অনলাইন সংক্রান্ত
বিষয় নিয়ে মারামারি করে হাসপাতালে ভর্তি
ছিলেন,আমি নিজেই আপনাকে ট্রিটমেন্ট
দিয়েছিলাম, মনে আছে?অবাক হচ্ছি আপনাকে
দেখে, সেদিন আপনার হাজব্যন্ড আপনাকে
মেরেই ফেলত, যদি আরেকুটু অত্যাচার করতো,
আমি একজন ডাক্তার হয়েও প্রথমে কিছুটা ভয়
পেয়েছিলাম আপনাকে দেখে, যাক এতো
রক্তক্ষরণ হয়েও বেচে আছেন, আপনি অনেক
লাকি, ওকে বাই"
আমার বউ আমার হাতটি ধরে সামনে এগিয়ে
যাচ্ছিলো আর নিশি পেছন থেকে আমাদের
দুজনের চলে যাওয়াটা খুব অসহায় দৃস্টিতে তাকিয়েদেখছিলো।আমার বউ আমাকে জিজ্ঞেস করেছিলো,"রিয়াদ ওই মেয়েটা তোমার পরিচিত নাকি"মোবাইলের স্ক্রিনে টাচ করে নিজেকে ব্যস্ত
রাখার অজুহাতে ওর প্রশ্ন টা শুনেও না শুনার ভান করা ছাড়া সেদিন আর কোন উপায় ছিলোনা।
THANKS...... ☺☺☺
No comments