গুন্ডি
↓↓↓
সকালবেলা ঘুম থেকে উঠেছি এমন সময় দেখি বউ
সামনে ঝাঁটা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে । আমাকে চোখ
মেলতে দেখেই বলে উঠলো " কত বড় সাহস
মহিলার ।আমাকে বলে কিনা আমার স্বামীর ভুঁড়ি
বেশি। দেখতে একদম বুড়া বুড়া লাগে। বলি আমার
স্বামীর মতন হ্যান্ডসাম দেখতে কোনো
ছেলে এই বিল্ডিংয়ের কোনো ফ্ল্যাটে আছে
নাকি"? বিয়ের পর এই প্রথম আমার বউয়ের মুখে
এমন সুনাম শুনলাম। গর্বে বুক ফুলে উঠলো। কিন্তু
বউয়ের হাতের ঝাঁটা আছে তাই বেশি বুক ফুলে রাখা
উচিৎ নয় ভেবে চুপচাপ শুয়ে রইলাম ।
আমাকে চুপচাপ শুয়ে থাকতে দেখে বউ বলে
উঠলো " এই তুমি এখনো শুয়ে আছো"? এক্ষুণি
ওঠো বলছি। এই তোমার বয়স কতো? হ্যাঁ ,এই
বয়সে এই ভুঁড়ি বানিয়েছ। তোমার লজ্জা করে না?
আর আয়নাতে কি নিজের বাঁদরের মতন মুখখানা
চোখে দেখো না? বলি বাজারে কি ফেশওয়াশ
নেই? নিজের শরীরের যত্ন নিতে পারো না"?
বুঝলাম বউয়ের মাথা আজ গরম আছে। তাই চুপচাপ
উঠে ফ্রেশ হতে গেলাম ।
খাবার টেবিলে বসে আছি। দেখি বউ গরম গরম
বিরিয়ানি রান্না করেছে । যেই না বিরিয়ানির বাটি নেওয়ার
জন্য হাত বাড়িয়েছি তখনি বউ কোথায় থেকে যেন
দৌড়ে এসে বলল " খবরদার যদি বিরিয়ানি ধরেছে
তাহলে খবর আছে। নিজের ভুঁড়ির দিকে তাকালে
লজ্জা করে না? এই নেও তোমার জন্য রুটি করে
এনেছি ।এখন থেকে সকাল রাতে রুটি খাবা। আর হ্যাঁ
,অফিস যাবার আগে জিমে ভর্তি হয়ে যাবা। তুমি বাসায়
এলে যেন শুনি তুমি জিমে ভর্তি হয়ে এসেছ।
নাহলে কিন্তু খবর করে দিবো।
বিয়ের পর থেকেই বউ আমাকে কথায় কথায় খবর
করতে চায়। দাদী বলতেন বউকে ভয় করা ভালো
।সংসারের উন্নতি হয় । আমিও বউকে ভয় করি। তাই
অফিস যাবার আগে বাসার সামনের জিমে ভর্তি হয়ে
তারপর গেলাম ।
অফিস থেকে ফিরে দেখি আমার বিছানার উপরে
নানান ব্যান্ডের ফেশওয়াশ , লোশন , আর নাইট
ক্রিম রাখা । বউকে ডেকে বললাম ,এসব কি?
বউ বলল , সব নাকি আমার জন্য। আজ থেকে যেন
নিয়মিত এসব মাখি নাহলে আমার খবর আছে।
রাতে রুটি খেয়ে বসে আছি। এমন সময় বউ বাটিতে
করে কি যেন নিয়ে এসে সারা মুখে মাখিয়ে দিয়ে
বলল " এটা হচ্ছে খাটি চন্দন "। কয়েকদিন মুখে
লাগলেই দেখবা চেহারা এক্কেবারে নায়ক নায়ক
হয়ে যাবে । বউয়ের কথায় হুঁ হাঁ কিচ্ছু না করে
চুপচাপ বসে রইলাম।
টানা তিন মাস বউয়ের কথায় জিম আর রূপচর্চা করে
শরীর আর চেহারা অনেকটাই যখন পরিবর্তন
হয়েছে। এমন সময় একদিন বিকালবেলা ছাদে বসে
আছি। বউ কোথায় থেকে যেন দৌড়ে এসে বলল
" এতো বড় সাহস, মহিলারা বলে কি আমার স্বামী নাকি
খুব হ্যান্ডসাম।একদিন উনাদের সাথে পরিচয় করিয়ে
দিতে "। বউ আমার দিকে তাকিয়ে অগ্নিমূর্তি হয়ে
বলল " খবরদার কাল থেকে যদি জিমে গেছ
তাহলে খবর করে দিবো"।
রাতের বেলা বসে আছি খাবার টেবিলে ।চারপাশে
তাকিয়ে দেখি কোথাও রুটির বাটি নেই। বউ পাশে
বসে ছিল। হঠাৎ বলে উঠলো, খাবার টেবিলে কি
খুঁজতেছ? সামনে বিরিয়ানি দেখতে পাও না? বিরিয়ানি
খাও বলছি? এক প্লেট বিরিয়ানি খেয়ে বললাম, আর
খাবো না। বেশি বিরিয়ানি খেলে মোটা হয়ে যাবো
। বউ সাথে সাথে সমস্ত বিরিয়ানি প্লেটে দিয়ে
বললো, তুই মোটা হলে হবি তাতে কি! তুই মোটা
হলেও আমার স্বামী, চিকন হলেও আমার স্বামী ।
বউয়ের কথায় সামনে রাখা সব বিরিয়ানি খেয়ে উঠলাম
।
রাতে বিছানায় শুয়ে আছি । এমন সময় বউ কাছে
এসে বলল" শুনো, তুমি এমনিতেই অনেক সুন্দর।
তোমাকে আর কিছু মাখতে হবে না। ফেশওয়াশ
মেখে মেখে মুখের অবস্থা কি করে
ফেলেছ! দেখতে একদম চায়নিজ চায়নিজ লাগে।
কাল থেকে ওসব মাখবে না ঠিক আছে"? আমি
বললাম, ঠিক আছে। তখন বউ বললো " এবার দূরে
যাও, গরম লাগছে ।
( বাঙালী মেয়েরা ঠিক অন্য রকম। এদের
স্বামীকে কেউ অপমান করলে যেমন মুখ বুঝে
সহ্য করেনা ।ঠিক তেমনি অন্য কোনো মেয়ে
নিজের স্বামীর গুণাগুণ করলেও স্বামীর ১২ টা
বাজিয়ে ছাড়ে। এটাই বাঙালী মেয়েদের পৃথিবীর
সব মেয়ে থেকে আলাদা করে রাখে। চিরকাল
যেন বাঙালী নারী এমন থাকে এই প্রত্যাশা
রইলো)
ধন্যবাদ..... ✌✌
সকালবেলা ঘুম থেকে উঠেছি এমন সময় দেখি বউ
সামনে ঝাঁটা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে । আমাকে চোখ
মেলতে দেখেই বলে উঠলো " কত বড় সাহস
মহিলার ।আমাকে বলে কিনা আমার স্বামীর ভুঁড়ি
বেশি। দেখতে একদম বুড়া বুড়া লাগে। বলি আমার
স্বামীর মতন হ্যান্ডসাম দেখতে কোনো
ছেলে এই বিল্ডিংয়ের কোনো ফ্ল্যাটে আছে
নাকি"? বিয়ের পর এই প্রথম আমার বউয়ের মুখে
এমন সুনাম শুনলাম। গর্বে বুক ফুলে উঠলো। কিন্তু
বউয়ের হাতের ঝাঁটা আছে তাই বেশি বুক ফুলে রাখা
উচিৎ নয় ভেবে চুপচাপ শুয়ে রইলাম ।
আমাকে চুপচাপ শুয়ে থাকতে দেখে বউ বলে
উঠলো " এই তুমি এখনো শুয়ে আছো"? এক্ষুণি
ওঠো বলছি। এই তোমার বয়স কতো? হ্যাঁ ,এই
বয়সে এই ভুঁড়ি বানিয়েছ। তোমার লজ্জা করে না?
আর আয়নাতে কি নিজের বাঁদরের মতন মুখখানা
চোখে দেখো না? বলি বাজারে কি ফেশওয়াশ
নেই? নিজের শরীরের যত্ন নিতে পারো না"?
বুঝলাম বউয়ের মাথা আজ গরম আছে। তাই চুপচাপ
উঠে ফ্রেশ হতে গেলাম ।
খাবার টেবিলে বসে আছি। দেখি বউ গরম গরম
বিরিয়ানি রান্না করেছে । যেই না বিরিয়ানির বাটি নেওয়ার
জন্য হাত বাড়িয়েছি তখনি বউ কোথায় থেকে যেন
দৌড়ে এসে বলল " খবরদার যদি বিরিয়ানি ধরেছে
তাহলে খবর আছে। নিজের ভুঁড়ির দিকে তাকালে
লজ্জা করে না? এই নেও তোমার জন্য রুটি করে
এনেছি ।এখন থেকে সকাল রাতে রুটি খাবা। আর হ্যাঁ
,অফিস যাবার আগে জিমে ভর্তি হয়ে যাবা। তুমি বাসায়
এলে যেন শুনি তুমি জিমে ভর্তি হয়ে এসেছ।
নাহলে কিন্তু খবর করে দিবো।
বিয়ের পর থেকেই বউ আমাকে কথায় কথায় খবর
করতে চায়। দাদী বলতেন বউকে ভয় করা ভালো
।সংসারের উন্নতি হয় । আমিও বউকে ভয় করি। তাই
অফিস যাবার আগে বাসার সামনের জিমে ভর্তি হয়ে
তারপর গেলাম ।
অফিস থেকে ফিরে দেখি আমার বিছানার উপরে
নানান ব্যান্ডের ফেশওয়াশ , লোশন , আর নাইট
ক্রিম রাখা । বউকে ডেকে বললাম ,এসব কি?
বউ বলল , সব নাকি আমার জন্য। আজ থেকে যেন
নিয়মিত এসব মাখি নাহলে আমার খবর আছে।
রাতে রুটি খেয়ে বসে আছি। এমন সময় বউ বাটিতে
করে কি যেন নিয়ে এসে সারা মুখে মাখিয়ে দিয়ে
বলল " এটা হচ্ছে খাটি চন্দন "। কয়েকদিন মুখে
লাগলেই দেখবা চেহারা এক্কেবারে নায়ক নায়ক
হয়ে যাবে । বউয়ের কথায় হুঁ হাঁ কিচ্ছু না করে
চুপচাপ বসে রইলাম।
টানা তিন মাস বউয়ের কথায় জিম আর রূপচর্চা করে
শরীর আর চেহারা অনেকটাই যখন পরিবর্তন
হয়েছে। এমন সময় একদিন বিকালবেলা ছাদে বসে
আছি। বউ কোথায় থেকে যেন দৌড়ে এসে বলল
" এতো বড় সাহস, মহিলারা বলে কি আমার স্বামী নাকি
খুব হ্যান্ডসাম।একদিন উনাদের সাথে পরিচয় করিয়ে
দিতে "। বউ আমার দিকে তাকিয়ে অগ্নিমূর্তি হয়ে
বলল " খবরদার কাল থেকে যদি জিমে গেছ
তাহলে খবর করে দিবো"।
রাতের বেলা বসে আছি খাবার টেবিলে ।চারপাশে
তাকিয়ে দেখি কোথাও রুটির বাটি নেই। বউ পাশে
বসে ছিল। হঠাৎ বলে উঠলো, খাবার টেবিলে কি
খুঁজতেছ? সামনে বিরিয়ানি দেখতে পাও না? বিরিয়ানি
খাও বলছি? এক প্লেট বিরিয়ানি খেয়ে বললাম, আর
খাবো না। বেশি বিরিয়ানি খেলে মোটা হয়ে যাবো
। বউ সাথে সাথে সমস্ত বিরিয়ানি প্লেটে দিয়ে
বললো, তুই মোটা হলে হবি তাতে কি! তুই মোটা
হলেও আমার স্বামী, চিকন হলেও আমার স্বামী ।
বউয়ের কথায় সামনে রাখা সব বিরিয়ানি খেয়ে উঠলাম
।
রাতে বিছানায় শুয়ে আছি । এমন সময় বউ কাছে
এসে বলল" শুনো, তুমি এমনিতেই অনেক সুন্দর।
তোমাকে আর কিছু মাখতে হবে না। ফেশওয়াশ
মেখে মেখে মুখের অবস্থা কি করে
ফেলেছ! দেখতে একদম চায়নিজ চায়নিজ লাগে।
কাল থেকে ওসব মাখবে না ঠিক আছে"? আমি
বললাম, ঠিক আছে। তখন বউ বললো " এবার দূরে
যাও, গরম লাগছে ।
( বাঙালী মেয়েরা ঠিক অন্য রকম। এদের
স্বামীকে কেউ অপমান করলে যেমন মুখ বুঝে
সহ্য করেনা ।ঠিক তেমনি অন্য কোনো মেয়ে
নিজের স্বামীর গুণাগুণ করলেও স্বামীর ১২ টা
বাজিয়ে ছাড়ে। এটাই বাঙালী মেয়েদের পৃথিবীর
সব মেয়ে থেকে আলাদা করে রাখে। চিরকাল
যেন বাঙালী নারী এমন থাকে এই প্রত্যাশা
রইলো)
ধন্যবাদ..... ✌✌
No comments